অকটেন

পেট্রোল তেল চেনার উপাই 10 টি উপাই

আজকের আলোচনা পেট্রোল তেল চেনার ১০ টি উপাই নিয়ে


অকটেন

পেট্রোল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি যা গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে বাজারে কখনো কখনো নিম্নমানের বা ভেজাল পেট্রোল পাওয়া যায় যা গাড়ির ইঞ্জিনের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই পেট্রোলের মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নিম্নলিখিত কয়েকটি উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি ১০০% খাঁটি পেট্রোল চেনার চেষ্টা করতে পারেন।


  1. গন্ধ এবং রঙ পর্যবেক্ষণ করুন : সঠিক পেট্রোলের বিশেষ গন্ধ এবং স্বচ্ছ রঙ থাকে। সাধারণত পেট্রোলের রঙ হালকা হলুদ বা কখনো একটু নীলচে হতে পারে, তবে খুব গাঢ় বা ধূসর রঙের মানে হতে পারে যে তাতে ভেজাল আছে। যদি পেট্রোলের গন্ধে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, যেমন বেশি তীব্র বা তেলের মতো গন্ধ, তবে তাতে ভেজাল থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
  2. ভাসমান পদার্থ পরীক্ষা করুন : একটি স্বচ্ছ পাত্রে নিয়ে তার মধ্যে কোনো ভাসমান কণা বা ময়লা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পারেন। খাঁটি পেট্রোল সাধারণত স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার থাকে। ভেসে থাকা ধূলা বা কণার উপস্থিতি নির্দেশ করে যে পেট্রোলে ভেজাল বা ময়লা আছে, যা আপনার যানবাহনের ইঞ্জিনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  3. জ্বালানোর পরীক্ষা : পেট্রোল সহজে এবং দ্রুত জ্বলে ওঠার মতো একটি জ্বালানী। আপনি যদি একটি ছোট পাত্রে নিয়ে সাবধানতার সাথে আগুন জ্বালান, এবং সেটি দ্রুত এবং পরিষ্কারভাবে জ্বলে যায় তবে এটি শুদ্ধ পেট্রোল। অন্যদিকে, যদি জ্বলন ধীর হয় বা কালো ধোঁয়া দেখা যায়, তাহলে সেখানে ভেজাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
  4. স্পর্শের পরীক্ষা : পেট্রোল সাধারণত খুব মসৃণ হয় এবং হাতে নেওয়া হলে এটি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়। হাতে স্পর্শ করলে তা কোনো চিটচিটে বা তৈলাক্ত অনুভূতি দেওয়া উচিত নয়। যদি আপনি স্পর্শ করলে তৈলাক্ত বা খুব বেশি চিটচিটে মনে করেন, তাহলে এটি ভেজাল হতে পারে।
  5. জলের সাথে মেশানো পরীক্ষা : পেট্রোল এবং জল কখনো মিশে যায় না। আপনি যদি একটি ছোট কাচের পাত্রে পেট্রোলের মধ্যে পানি মেশান এবং দেখেন পানির সাথে মিশে যাচ্ছে বা এর রঙ পরিবর্তিত হচ্ছে, তবে তা খাঁটি নয়। খাঁটি পেট্রোল জলের উপরে ভাসবে এবং তার রঙও অপরিবর্তিত থাকবে।
  6. বিক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করুন : যে পাম্প থেকে আপনি সংগ্রহ করছেন, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি সেই পাম্পের ব্র্যান্ড এবং রেপুটেশন সম্পর্কে জেনে নিন। নির্ভরযোগ্য এবং সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেট্রোল পাম্প থেকে কেনাই সবসময় ভালো, কারণ সেগুলোতে নিয়মিত মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করা হয়।
  7. দাম পর্যবেক্ষণ করুন : কোনো বিক্রেতা যদি স্বাভাবিক বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে চান, তবে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে। খাঁটি পেট্রোলের নির্দিষ্ট একটি বাজারমূল্য রয়েছে, এবং এর থেকে অনেক কম মূল্যে পেট্রোল বিক্রি করা মানে হতে পারে যে তাতে ভেজাল মেশানো হয়েছে।
  8. গাড়ির পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করুন : যদি আপনি নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট পাম্প থেকে তেল নিয়ে থাকেন এবং হঠাৎ করে আপনার গাড়ির মাইলেজ কমে যায়, ইঞ্জিনে অস্বাভাবিক শব্দ হয়, অথবা শুরু হতে সময় লাগে, তাহলে এটি নিম্নমানের পেট্রোলের কারণে হতে পারে। মানহীন পেট্রোল ইঞ্জিনের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং তা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব।
  9. ফিল্টার কাগজের পরীক্ষা : এই পরীক্ষাটি করার জন্য একটি সাদা ফিল্টার কাগজে কিছু পেট্রোল ঢালুন। খাঁটি পেট্রোল বাষ্পীভূত হয়ে যাবে এবং ফিল্টারে কোনো দাগ থাকবে না। যদি ফিল্টারে কিছু দাগ থাকে বা তেল জাতীয় পদার্থ দেখা যায়, তবে সেটি নিম্নমানের বা ভেজাল হতে পারে।
  10. ল্যাবরেটরি পরীক্ষা : যদি সম্ভব হয়, পেট্রোলের মান পরীক্ষা করার জন্য একটি স্থানীয় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো যেতে পারে। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা সবচেয়ে নির্ভুল পদ্ধতি, যেখানে পেট্রোলের রাসায়নিক গঠন এবং অন্যান্য মানদণ্ডগুলো পরীক্ষা করা হয়।

উপসংহার


খাঁটি পেট্রোল চেনা এবং ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ নিম্নমানের বা ভেজাল পেট্রোল গাড়ির ইঞ্জিনে ক্ষতি করতে পারে এবং তা দীর্ঘমেয়াদে ব্যয়বহুল হতে পারে। উপরের এই কয়েকটি সহজ পরীক্ষা ব্যবহার করে আপনি নিজেই নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি যে পেট্রোল কিনছেন তা ১০০% বিশুদ্ধ কিনা। তবে যদি নিশ্চিত না হতে পারেন, তাহলে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করানো সর্বোত্তম উপায়।

Bike related আর পোস্ট/ টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখুন । Click Here

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *